অনির্বাণ ঘোষ

কর্মসূত্রে লন্ডননিবাসী অনির্বাণ ঘোষ পেশায় সার্জন হলেও সাহিত্যের প্রতি তাঁর দুর্বলতা সেই ছোটো বয়স থেকেই। ২০১৫ সালে বন্ধু অরিজিৎ গাঙ্গুলির সঙ্গে তৈরি করেন নিজেদের ব্লগ anariminds.com। সেখানেই লেখালিখির সূত্রপাত। এরপর বেশ কিছু ছোটোগল্প, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনি আর প্রবন্ধ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকের মন জয় করে নিতে শুরু করে।
২০১৮ সালের বইমেলায় দুটি পৃথক গল্প সংকলনে অনির্বাণের দুটি ছোটোগল্প প্রথম ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পায়। একই বছরে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত হয় তাঁর ছোটোগল্প ‘আবর্ত’। অনির্বাণের জন্ম ১৯৮৫ সালে হাওড়ার শিবপুরে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের গণ্ডি অতিক্রম করেই ছোটোবেলার এক স্বপ্ন সফল করার নেশায় মেতে ওঠেন অনির্বাণ। ফলস্বরূপ ২০০৮ সালে এম বি বি এস, ২০১০ সালে এম এস, এবং ২০১৩ সালে এম আর সি এস ডিগ্রি লাভের পর শল্যচিকিৎসার আধুনিক পীঠস্থান ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে। কলকাতাকে ছেড়ে গেলেও বাঙালির আদবকায়দা ও সাহিত্যপ্রীতিকে ভুলতে পারেননি অনির্বাণ। তাই শখের ইউরোপ ভ্রমণের পাশাপাশি অনির্বাণের কলমের জাদুতে একের পর আসতে থাকে ‘স্ক্যালপেল’, ‘আদতে আনাড়ি’, ‘হিস্ট্রির মিস্ট্রি’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় সিরিজ।
 
মূলত নিজের ডাক্তারি অভিজ্ঞতা আর ইতিহাসভিত্তিক রিসার্চধর্মী এইসব লেখা পাঠকমহলে যথেষ্ট সমাদৃত হয় এবং অপেক্ষা বাড়তে থাকে অনির্বাণের প্রথম বইয়ের। হায়রোগ্লিফের দেশে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত ঘরানা থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রাচীন মিশরের ইতিহাস ও পৌরাণিক আখ্যান এমন সুকৌশলে পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ মনে হয় বাংলায় এই প্রথম। গল্পের ছলে মিশরের রোমহর্ষক সব আখ্যান জীবন্ত হয়ে ওঠার মধ্যেই তৈরি হতে থাকে আর একটি থ্রিলারধর্মী গল্প।