রহস্য নিকেতন কপার-বীচেস [শার্লক হোমস]

শার্লক হোমস ছুঁড়ে ফেলে দিল ডেইলি টেলিগ্রাফের বিজ্ঞাপনের পাতাটা। বললে, ওয়াটসন, আমারকীর্তি নিয়ে তুমি যখনই গল্প লিখেছ, সেগুলো গল্পইহয়ে দাঁড়িয়েছে–রং চড়ানোর দিকে নজর না-দিয়ে যুক্তিবিজ্ঞানের দিকে বেশি নিষ্ঠা দেখালে ভালো করতে।

পান্না-মুকুটের আশ্চর্য অ্যাডভেঞ্চার [শার্লক হোমস]

হোমস, জানলা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বললাম, একটা বদ্ধ পাগল আসছে! ড্রেসিং গাউনের পকেটে হাত পুরে কুঁড়ের বাদশার মতো উঠে এল শার্লক হোমস। ফেব্রুয়ারি মাস। সবে সকাল হয়েছে। রাস্তায় গত রাতের বরফ রোদুরে ঝকঝক করছে। বেকার স্ট্রিট অবশ্য অনেকটা সাফ হয়ে এসেছে।

খানদানি আইবুড়োর কীর্তিকাহিনি [শার্লক হোমস]

লর্ড সেন্ট সাইমনের বিয়ে এবং তারপরেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অদ্ভুত কাহিনি অনেকের কাছেই এখন বাসি হয়ে গিয়েছে। নিত্যনতুন কলঙ্ক কাহিনি রটছে, চার বছর আগেকার ব্যাপারটা আর তেমন আগ্রহ জাগায় না। বিচিত্র এই রহস্য ভেদে কিন্তু শার্লক হোমসের একটা বড়ো ভূমিকা ছিল।

ইঞ্জিনিয়ারের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ নেই [শার্লক হোমস]

শার্লক হোমসের সমীপে দুটো কেস আমি নিজেই নিয়ে এসেছিলাম। একটা মি. হেথার্লির বুড়ো আঙুল সংক্রান্ত, আর একটা কর্নেল ওয়ার্বার্টনের পাগলামি। দুটির মধ্যে অনেক বেশি অদ্ভুত আর নাটকীয় ছিল প্রথমটা।

ডোরাকাটা পটির রোমাঞ্চ উপাখ্যান [শার্লক হোমস]

শার্লক হোমস মামলা হাতে নিত বেছে। উদ্ভট, অদ্ভুত, ফ্যানট্যাসটিক রহস্য না-হলে টাকার প্রলোভনেও আজেবাজে কেসে নাক গলাত না। ও ভালোবাসত জটিল ধাঁধার সমাধান করতে এবং ভালোবাসার টানেই দেখেছি গত আট বছরে সত্তরটি অত্যদ্ভুদ মামলার সমাধান করেছে। এর প্রতিটিতে ওর সান্নিধ্যলাভের সুযোগ আমি পেয়েছি, ওর আশ্চর্য তদন্ত পদ্ধতি লক্ষ করেছি।

নীলকান্ত পদ্মরাগের আশ্চর্য অ্যাডভেঞ্চার [শার্লক হোমস]

বড়োদিনের দু-দিন পরে মঙ্গল কামনা করতে গিয়েছিলাম বন্ধুবর শার্লক হোমসের আস্তানায়। ঘরে ঢুকে দেখলাম আরামকেদারায় শুয়ে আছে সে। গায়ে বেগনি ড্রেসিং গাউন, হাতের কাছে তাক ভরতি তাম্রকূট সেবনের পাইপ, সদ্যপড়া খবরের কাগজের উঁই, একটা বিতিগিচ্ছিরি থেঁতলানো শতচ্ছিদ্র পশমের গোল টুপি, আতশকাচ আর ফরসেপস, মানে সন্না। অর্থাৎ টুপি পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিল এতক্ষণ।

বক্রোষ্ঠ ব্যক্তির রহস্য [শার্লক হোমস]

১৮৮৯ সালের জুন মাস। রাত হয়েছে। হাই তুলে ভাবছি এবার শোওয়া যাক, এমন সময়ে এক ভদ্রমহিলা এল বাড়িতে। মুখে কালো ওড়না। ভদ্রমহিলা ঘরে ঢুকেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল আমার বউকে।

পাঁচটা কমলা-বিচির ভয়ংকর কাহিনি [শার্লক হোমস]

১৮৮২ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে শার্লক হোমস যেসব রহস্য সমাধানের ভার হাতে নিয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটিতে তার বিশ্লেষণী ক্ষমতা চূড়ান্তভাবে প্রকাশের সুযোগ পায়, কয়েকটিতে তার ক্ষমতা থই পায়নি–অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে।

বসকোম ভ্যালির প্রহেলিকা [শার্লক হোমস]

শার্লক হোমসের টেলিগ্রামটা এল সকাল বেলা–আমি তখন স্ত্রীকে নিয়ে প্রাতরাশ খেতে বসেছি। দিন দুয়েকের জন্য বসকোম ভ্যালি যাবে? এইমাত্র টেলিগ্রাম পেলাম। তলব পড়েছে। প্যাডিংটন থেকে সওয়া এগারোটায় গাড়ি আছে।

ছদ্মবেশীর ছলনা [শার্লক হোমস]

বেকার স্ট্রিটের আস্তানায় বসে আছি আমি আর হোমস। সামনে আগুনের চুল্লি। হোমস বললে, ভায়া, কল্পনার রং কখনো বাস্তবের রঙের চেয়ে জোরদার হতে পারে না। আটপৌরে নাটক নভেল মাঠে মারা যাবে যদি জীবন থেকে তুলে নেওয়া সত্য ঘটনাকে সঠিকভাবে দেখা যায়।