জিঞ্জির (কাব্যগ্রন্থ)

অগ্র-পথিক হে সেনাদল, জোর কদম চল রে চল। রৌদ্রদগ্ধ মাটিমাখা শোন ভাইরা মোর, বসি বসুধায় নব অভিযান আজিকে তোর! রাখ তৈয়ার হাথেলিতে হাথিয়ার জোয়ান, হান রে নিশিত পাশুপতাস্ত্র অগ্নিবাণ!

ছায়ানট (কাব্যগ্রন্থ)

ওই ঘাসের ফুলে মটরশুটির ক্ষেতে আমার এ-মন-মৌমাছি ভাই উঠেছে আজ মেতে। ওই রোদ-সোহাগী পউষ-প্রাতে অথির প্রজাপতির সাথে বেড়াই কুঁড়ির পাতে পাতে পুষ্পল মৌ খেতে।

চিত্তনামা (কাব্যগ্রন্থ)

খোলো মা দুয়ার খোলো প্রভাতেই সন্ধ্যা হল দুপুরেই ডুবল দিবাকর গো। সমরে শয়ান ওই সুত তোর বিশ্বজয়ী কাঁদনের উঠছে তুফান ঝড় গো॥ সবারে বিলিয়ে সুধা,

চক্রবাক (কাব্যগ্রন্থ)

মোর অপরাধ শুধু মনে থাক! আমি হাসি, তার আগুনে আমারই অন্তর হোক পুড়ে খাক! অপরাধ শুধু মনে থাক!

অগ্নিবীণা (কাব্যগ্রন্থ)

বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির! বল বীর – বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’ চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’

রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম (অনুবাদ)

রাতের আঁচল দীর্ণ করে আসল শুভ ওই প্রভাত, জাগো সাকি! সকাল বেলার খোয়ারি ভাঙো আমার সাথ। ভোলো ভোলো বিষাদ-স্মৃতি! এমনি প্রভাত আসবে ঢের, খুঁজতে মোদের এইখানে ফের, করবে করুণ নয়নপাত।

রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ (অনুবাদ)

তোমার ছবির ধ্যানে, প্রিয়, দৃষ্টি আমার পলক-হারা। তোমার ঘরে যাওয়ার যে-পথ, পা চলে না সে-পথ ছাড়া। হায়, দুনিয়ায় সবার চোখে নিদ্রা নামে দিব্য সুখে, আমার চোখেই নেই কি গো ঘুম দগ্ধ হল নয়ন-তারা॥

দীওয়ান-ই-হাফিজ (অনুবাদ)

নৌ-জোয়ানির জৌলুসে ফের গুলজার আজ গোলেস্তান ফুল-কিশোরীর খোশখবরি গায় বুলবুল খোশ এলহান যৌবনাতুর ফুলকুঁড়ি-বাস যাচ্ছ মলয় ঘোড়সওয়ার, সরো গোলাব জুঁই কলিদের কই যে কি মোর নমস্কার।

ভালোবাসার গভীরে

আমি ভালোবাসায় নতুন রূপ দিয়েছি, চিনতে শিখিয়েছি এক নতুন ভাবে। প্রেমের মিষ্টি কথা, যুবক যুবতীর নিবেদন, সুসময়ে বিনয়ের ছলনা- আমি সেখানে ভালোবাসা দেখি না।

নীরার প্রতি প্রকৃতির গান

ভোলগার তীরে জনপদ খুঁজে, গঙ্গার পলিমাটি মাখা বঙ্গের পথে, নিশীথের অন্ধকারে জোনাকি থেকে উত্তর পেলাম- পৃথিবীর প্রথম ফুল ফোটার দিন, সূর্যের রঙিন আভা ও হিমেল হাওয়ায় মেঘের নৃত্য, অমিয়ধারায় মুগ্ধ করা মায়ার শীতল স্পর্শ।