আপনমনে – রবি ঘোষ

বাঙালি-জীবন আর রসিকতা একসময়ে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতেও হাসির উপস্থিতি ভীষণভাবেই ছিল। বাংলা চলচ্চিত্রে সেই সবাক যুগের শুরু থেকেই (৩-এর দশক) ১৯৭০-৮০-র দশক অবধি ‘হাসি’ প্রাধান্য পেয়েই এসেছে—তৈরি হয়েছে ভালো ভালো হাসির ছবি।

ঘরোয়া

আমার প্রায়ই মনে পড়ে, সে অনেক দিনের কথা, রবিকাকার অনেক কাল আগেকার একটা ছড়া। তখন নীচে ছিল কাছারিঘর, সেখানে ছিল এক কর্মচারী, মহানন্দ নাম, সাদা চুল, সাদা লম্বা দাড়ি। তারই নামে তার সব বর্ণনা দিয়ে মুখে মুখে ছড়া তৈরি করে দিয়েছিলেন, সোমকা প্রায়ই সেটা আওড়াতেন—

জোড়াসাঁকোর ধারে

যত সুখের স্মৃতি এত দুঃখের স্মৃতি আমার মনের এই দুই তারে যা দিয়ে দিয়ে এইসব কথা আমার শ্রুতিধরই শ্রীমতী রানী চন্দ এই লেখায় ধরে নিয়েছেন, সুতরাং এর জন্যে যা কিছু পাওনা তাঁরই প্রাপ্য। মুখের কথা লেখার টানে ধরে রাখা সহজ নয়, প্রায় বাতাসে ফাঁদ পাতার মতও কঠিন ব্যাপার সুতরাং যদি কিছু দোষ থাকে এই বইখানিতে সেটা আমি নিতে রাজি হলেম ইতি

মরুতীর্থ হিংলাজ

[মরুতীর্থ হিংলাজ বাংলা ভাষায় রচিত একটি আত্মজৈবনিক কাহিনি। এটির রচয়িতা অবধূত তথা দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। পাকিস্তানে বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত মরু এলাকা হিংলাজ’ হিন্দুদের একটি তীর্থস্থান; ৫১ শক্তিপীঠের এক পীঠ।

বুদ্ধ অথবা কার্ল মার্কস – ড. বি. আর. আম্বেদকর

বুদ্ধকে সাধারণত অহিংসার নীতির সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। অহিংসাই যেন তাঁর শিক্ষার ‘সবকিছু’ এবং ‘সবশেষ’ বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন বুদ্ধর শিক্ষার পরিধি কতটা বিস্তীর্ণ: ‘অহিংসা’ নীতিকে ছাপিয়েও এই শিক্ষার দিগন্ত আরো বহু দূর প্রসারিত। এজন্যই তাঁর নীতিগুলো বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন।

মহাভারত ও সিন্ধু সভ্যতা

কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসকৃত যে মহাভারত বর্তমানে চালু আছে, তাতে ৮০,০০০ থেকে এক লক্ষ শ্লোক আছে। কিন্তু গোড়াতে মহাভারতে এক লক্ষ শ্লোক ছিল না। মাত্র কয়েক শত বা কয়েক হাজার শ্লোক ছিল। কিভাবে মহাভারত বিরাটত্ব লাভ করেছিল, তা মহাভারতের সূচনাতেই, আদিপর্বে বিবৃত হয়েছে।

আওরঙ্গজেব : ব্যক্তি ও কল্পকথা

আমি এসেছি অচেনা মানুষ হিসেবে, চলেও যাব অচেনা মানুষের মতো । –মৃত্যুর প্রাক্কালে আওরঙ্গজেবের লেখা চিঠি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৭০৭ সালে ৮৮ বছরের পরিণত বয়সে যখন জীবনের পেছন দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন তিনি ব্যর্থতাই দেখতে পেয়েছিলেন।

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় রচনাসংগ্রহ

আর্যাবর্তের পূৰ্ব্ব পশ্চিম উভয় দিকেই সমুদ্র; উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণে বিন্ধ্যাচল;–অতি পুরাকাল হইতে এইরূপ সাধারণ ভাবের সীমা নির্দেশের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই চতুঃসীমার মধ্যেই আৰ্য-বিজয়-রাজ্য সুসংস্থাপিত হইয়াছিল। তন্মধ্যে ব্রহ্মাবর্ত, ব্রহ্মর্ষি এবং মধ্যদেশ নামক তিনটি দেশ সৰ্ব্বাপেক্ষা সুপরিচিত ছিল; এবং আর্য্যগণ সেই সকল দেশের নামানুসারেই আত্মপরিচয় প্রদান করিতেন।