অনিল ঘড়াই

কথাশিল্পী অনিল ঘড়াই (১ নভেম্বর, ১৯৫৭—২৩ নভেম্বর, ২০১৪) ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একজন বাঙ্গালী সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে তার অবস্থান অনন্য। দলিত ও প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে সাহিত্যচর্চার সুবাদে তাকে অন্ত্যজ জীবনের রূপকার বলা হয়ে থাকে।
 
জীবন
অনিল ঘড়াইয়ের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রুক্মিণীপুর গ্রামে। পিতা অভিমন্যু ঘড়াই ও মাতা তিলোত্তমা ঘড়াই। অনিলের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের অনেকটা সময় কেটেছে নদিয়া জেলার কালিগঞ্জে।
 
অনিল ঘড়াই পড়াশোনা করেছিলেন টেলি-কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে তিনি চক্রধরপুরে রেলের ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি খড়গপুর রেলবিভাগে বদলি হন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে আধিকারিক হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরিসূত্রে চক্রধরপুর ও পরে খড়গপুরে বসবাস করতেন।
 
সাহিত্যিক জীবন
২৫ বছর বয়সে প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থ কাক এবং ৩২ বছর বয়সে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস নুনবাড়ি দিয়েই তার স্বতন্ত্র যাত্রা শুরু হয়। তার গল্প, উপন্যাস ও কবিতা মিলিয়ে গ্রন্থের সংখ্যা ৭০-৮০ - এর মতো।ঔপন্যাসিক ও গল্পকার পরিচয়ের আড়ালে তিনি ছিলেন আসলে অসাধারণ এক আত্মভোলা কবি। নদিয়া ও মেদিনীপুরের গ্রামীণ মানুষ ও তাদের কথ্যভাষা যেমন উঠে এসেছে তার রচনায়, তেমনি চক্রধরপুরে বসবাস করার সুবাদে সিংভূম অঞ্চলের কথ্যভাষাসহ সেখানকার মানুষের জীবনের ছবি পাওয়া যায় তার সাহিত্যে। ১৯৯০ সালে তার প্রথম ছোটগল্প প্রকাশ হয় দেশ (পত্রিকা)-তে।
 
পুরস্কার ও সম্মাননা
সর্বভারতীয় সংস্কৃতি পুরস্কার (১৯৯৪)
মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৪)
তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার (২০০১)
সোমেন চন্দ স্মৃতি পুরস্কার (২০০২)
বঙ্কিম পুরস্কার (২০১০) [উইকি]