গোপাল ভাঁড় আসলে কে ছিলেন? তাঁর বংশ পরিচয় কী?

নাম: গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক
জন্ম: কৃষ্ণনগর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মৃত্যু: নদিয়া, ভারত
দাম্পত্য সঙ্গী: পার্বতী
ধর্ম: হিন্দুধর্ম
পেশা: রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর রাজসভার রম্য গল্পকার ভাঁড় ও মনোরঞ্জনকারী 
 
নগেন্দ্রনাথ দাস নামের এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে গোপাল ভাঁড়ের বংশধর বলে দাবি করেন তিনি তাঁর লেখা ‘নবদ্বীপ-কাহিনী বা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়’ বইতে দাবি করেন, গোপাল ভাঁড়ের আসল পদবী ভাঁড়’ নয়, গোপালের পদবি ছিল ‘নাই’। তাঁর দাদার নাম ছিলো ‘আনন্দরাম নাই । যিনি ছিলেন এক পরম তান্ত্রিক সাধক।’ আর গোপালের বাবা দুলালচন্দ্র নাই, যিনি পেশায় ছিলেন নাপিত। তবে, গোপালের বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়েই নদিয়ারাজ তাঁকে সভার অন্যতম রত্ন হিসেবে স্থান দেন। তখন গোপালের উপাধি হয় ‘ভাণ্ডারী’। ‘ভাণ্ডারী’ থেকে ধীরে ধীরে অপভ্রংশের মাধ্যমে হয়েছে ‘ভাঁড়’ । সেই থেকে তিনি আমাদের মাঝে পরিচিত ‘গোপাল ভাঁড়’ নামে!
 
তিনি তাঁর বইতে আরও দাবি করেন, কোনও পুত্রসন্তান না থাকলেও গোপাল ভাঁড়ের একটি মেয়ে ছিল। তাঁর নাম ‘রাধারাণী’। তাঁর স্ত্রীর নাম পার্বতী [উইকি]। গোপাল ভাঁড়ের বংশ তালিকাও তিনি এই বইয়ে রেখেছেন।
নগেন্দ্রনাথের বক্তব্য, তিনি গোপালের ভাই কল্যাণের উত্তরসূরি। সেই অর্থে গোপালের একমাত্র বংশধর। তবে এই মত যে সব ঐতিহাসিক সন্দেহাতীত ভাবে মেনে নিচ্ছেন, তা বলা যায় না।